মৃত প্রেমিক।

আজ আমি নেহাতই এক ক্লান্ত পদাতিক
সমাজের সমুদ্রের একলা এক পথিক,
দূরদূরান্তে পাইনা দেখা ইচ্ছের
সময় আজ অতিক্রান্ত সুদূরের।

বিষাক্তের নীলাভতায় ব্যস্ত রাস্তায়
পথ খুঁজে ফেরার পথে হারাই ক্রমশ ভিড়ে
অতৃপ্ত খোঁজের আজও নিয়ে ফেলি আশ্রয়
আর না চেয়েও ডুবতে যাই এই জটিলতায় বারেবারে।

ফিরিয়ে আনার ব্যর্থতায় আমি ক্লান্ত
ভুলে থাকার অক্ষমতায় হয়েছি নগণ্য,
একলা চলতে চেয়ে বারবার দেখেছি তোকে
সাথে নিয়ে চলার অবকাশটুকুও হলো নাহ তাই আজ।

যদি চলে যাই আমি না ফেরার দেশে
তখন আসিস একবার জড়িয়ে ধরতে,
আসিস আরও একবার ভালবাসতে;
হয়তো পাবিনা আগের উষ্ণতা
হয়তো পাবিনা সেই কম্পন,
তাও তখনও থাকবো আমি তোর কাছে
দেখবো অনেক দূর থেকে হয়তো তুই
পাবিনা দেখতে তখন আমায় আর
পারবি নাহ অনুভব করতে আমার ভালবাসা আমার আদর
পারবো নাহ ছুঁতে তোকে  আর আগের মতো করে
তবু থাকবো তোর সামনে ঠাণ্ডা শিথিলতার আশ্রয়ে
এক মৃত প্রেমিকের জীবন্ত ভালবাসা নিয়ে।।

- স ম্রা জ।। 

নিখোঁজ তুমি

অবশেষের পাহাড় ঘনিয়ে ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ,
উত্তরে সার্থকতা উন্মাদনার।
মন বুঝে অবসাদকে পেড়িয়ে, নতুন লেখার শুরুতে
তোমার ভালবাসার উন্মাদনার আশ্রয়ে।
এক দূর সমুদ্র পাড়ে দেখা পাওয়া,
সেই সুদূর প্রাঙ্গনে তোমার জন্য পাগলামো;
তোমাতে ঘিরে অনেক অপ্রকাশিত লেখাতে,
ফিরে যেতে চাই তোমার ভালবাসাতে।।
লেখার ভাষা ভুলে ভালবাসার সম্ভাবনায় ,
করেছিলাম তোমায় আপন এ হৃদয়ে।
হয়ে আপনহারা উজ্জাপনায় বুনিয়েছি তোমার উদারতায়,
বলার আগে বুঝে নিয়ে সেই তুমি দিয়েছ এই পাগলকে আশ্রয়।
অবসাদের মরুভুমিকে  নাজেহাল করেছিলে তোমার উত্তেজনায়,
ঠোঁটের মায়াজালে বেঁধে রেখেছিলে আমায়।
তারপর অনেক সময় কেটে যাওয়ার পর তোমায় নিয়ে,
ভেবেছি করবো সেই মহাসিন্‌ধু পাড়।
অবসানের আশ্রয়ে শেসের কিছু আগে,
পড়ল মনে তোমার আবেগের কথা,
তোমার সাদার নিবেশে নিজেকে লুকোনোর কথা।
নিজের কালোকে মিশিয়ে তোমার সাদায়,
বেসেছি ভালও তোমায় সবসময়...
আমি খারাপ আর তোমার ভালোয় মিশিয়ে
থেকেছি উন্মাদনার উপস্থাপনায়।।
গান কবিতা সবার থেকে গিয়ে দূরে,
রেখেছি তোমায় আপন করে।
আজ সমস্যার গভীরতায় হারিয়ে তোমায়
যৌনতার মৌনতায় এখনও তোমার অপেক্ষায়।।
নেই খোঁজ তোমার হয়েছও নিখোঁজ
গত কিছু রাতে পাইনি তোমার দেখা
জানি তুমি আজও আছ আমার হয়ে
প্রাকৃতিক কোনও আচ্ছাদনের আড়ালে।।

-স ম্রা জ।। 

অপ্রত্যাসিত

যৌনাঙ্গের প্রবেশপথ বাড়ে ব্লেডের আঘাতে
ধর্ষিতা বছর সাতেকের দিনাজপুরের এক মেয়ে।
সারারাতের অত্যাচারের পর ধর্ষক দুই
ফেলে দিয়ে যায় সকালে বাড়ির সামনে,
রক্তে ভেজা পূজাকে।।

বিচারের আশায় প্রশাসনিক দরজায় তার বাবা
বিচারের নামে পায় হাজার দশেক টাকার অফার।
আর্তনাদ অবিচারের ছাড়পত্র আজ নৃশংসতার
সবকিছুই কিনতে চায় অসামাজিকতার ব্যাবসায়ীর টাকার।।

বিচার আদায় করে সেই অসহায় পিতা
সাথে করে মেয়েকে নিয়ে চলন্ত ট্রেনের নীচে।।

ধর্ষণের শেষ নয় এখানেই, ধর্ষক যে প্রভাবশালীর নামেই
যেখানে যাওয়া বিচারের আশায় তারাই ধর্ষক তার আগের রাতের
অন্য কোনও কিশোরীর দেহের, অচেনা আর্তনাদের
কাৎরাচ্ছে যার  দেহ হাসপাতালের কোনও এক বেড-এ।।

মুহূর্তের মাঝে ধর্ষক বাড়ছে সাথে নিয়ে ধর্ষিতার সংখ্যা,
এই আমাদের সমাজ, মাতৃদিবসের উদযাপনে আজ।
নারী-পুরুষ সমান অধিকারের দায় আদায়
মিথ্যের আড়ালে জীর্ণ সামাজিক মানবিকতা।।

প্রতিবাদীর মৃত্যু, মোমবাতি মিছিলেই শেষ
আজকের প্রতিবাদ , প্রতিনিয়ত।
সোশাল মিডিয়ার দেওয়ালেই ছাড়পত্র
আজকের অমানবিক ঐতিহ্যের ,
টাকার জোরে সব বেকাসুর খালাস।।

-স ম্রা জ।। 

অবৈধ অন্তর্বাস।।

পরিকল্পিত হত্যার অবসানে
পরিহিত অন্তর্বাস,
অপরিকল্পিত খুনের পরিকল্পিত
বহিঃপ্রকাশ।।

অনুভূতির ক্ষরণে নিষ্ক্রিয় হৃদপিণ্ড
দূষিত রক্তের আড়ালে,
অভুক্ত ভালবাসা আশ্রয় নেয়
অবৈধ অন্তর্বাসে।।

রক্তের ক্ষরণ বিশেষ কোনও মায়াজালে,
উদ্বাস্তু জন্ম নেয় প্রাকৃতিক মায়াবলে
ছড়িয়ে পরে উন্মাদনার আর্তনাদ,
থিতিয়ে পরে জোড়া অবৈধ অন্তর্বাস।।

বিস্ফোরক মন্তব্যের পর অভিশপ্ত রাত্রি
জন্ম হয় মৃতপ্রায় এক শরীরের,
নোংরামির আবশ্যিকতায় পাওয়া পরিপূর্ণতা
আর অভুক্ত ভালবাসায় সৃষ্ট 'অবৈধ অন্তর্বাস'।।

-স ম্রা জ।। 

কখনো ভাবিনি

কখনো ভাবিনি প্রতিটা শব্দ যখন বাক্যের পূর্ণতা পাবে তখনই তোর নাম মনে আসবে।
কখনো ভাবিনি চোখ বন্ধ করে তোর কথা ভাবলেই মুহূর্তে এক একটা কবিতা জন্মাবে।
কখনো ভাবিনি তোর ডাকে আমার নামটা একদিন পূর্ণতা পাবে।
কখনো ভাবিনি আমাকেও প্রতিনিয়ত আরও গভীরভাবে কেউ ভালবাসতে পারবে।
কখনো ভাবিনি সমস্ত অভাবনীয় অসম্পূর্ণতার হিসেব মিটিয়ে আমার জন্যে কেউ এতটা উন্মাদনা দেখাবে।
কখনো তো এটাও ভাবিনি তোর মতো একজন আমার জীবনে আসবে।
তাও এলি। নিজের করে নিয়ে সমস্তটা বদলে দিলি। এভাবেই থাকিস শুধু হাতটা ধরে।


-স ম্রা জ।।

তুই, শুধু তুই

তোর আশ্রয়ে ভুলে সমস্ত যন্ত্রণা
তোর আদরে মুছে যায় যতো অবহেলা
তোকে আঁকড়ে জীবিত থাকার চেষ্টা
তোর ভালবাসায় মাতি খুশীর মত্ততায়।।

তোকে চেয়ে তোকে পেয়ে খুব আনন্দে আজ
তোর ছোঁয়ায় মুছে গেছে এ ঠোঁট থেকে নিকোটিনের স্বাদ,
তোকে জড়িয়ে ধরে করেছি আজ সমস্ত দুঃখের বিনাশ
আজকের সন্ধ্যায় হয়েছে আমাদের ভালবাসার বিন্যাস।।

হরমোনের উচ্ছাস হয়েছে বহুদিন পর
দীর্ঘপ্রতিক্ষায়িত আমাদের এক হওয়ার আশায়;
আমাদের এক হয়ে চুম্বনের প্রয়াস
প্রকাশ করল আবার আমাদের ভালবাসার নির্যাস।।

-স ম্রা জ।।

না পাওয়া তুমি

কাল কী হবে তা আসলে অজানা

আজ যা ঘটছে সবই ওপরওয়ালার ভাবনা।

আছি আজ কাল নেই এই কথায় মৃত্যু করে নিশানা,

ভালবাসি আরও অনেকটা নতুন করে নতুন দিনে 

আসলে রাত যে কাটে তোরই আবেশে;

তোর শূন্যতাকে ঘিরে লেখার চেষ্টা,

কোনও এক মানসীর কথায়।

তোকে ঘিরে জীবন্ত উন্মাদনা আজও 

করে এই জীবনের উদ্যম বিকাশ।।

কোনও সীমিতও সময়ের অভিযোগে,

প্রথম দেখার সেই একটুকরো ভালবাসার ক্ষোভে,

অনুভূতির আনকোরা স্বাদের তৃপ্তির আবেশের অভিযোগে

পাঠানো সেই নিমন্ত্রন আমার;

যার উত্তরে পাওয়া তোমার বিয়ের চিঠি,

আর আমি যে আগাগোড়াই বড় একা সাথে নিয়ে 

চলি তোমার প্রকৃতি।।

বলেছিলে একদিন ভালবাসি তোমায়,

আর ক'দিন পর যাবে অন্য কারো বিছানায়।

খুব যে বেশী আশ্রয়ের সুযোগ নেই আমার,

রাত্রি আমায় ডাকছে 

প্রকৃতির কোলে একটু স্বস্তির ঘুমের জন্য।

রক্তাক্ত বমি আশ্রয় নিচ্ছে, এ

জীবন্ত মৃতদেহের ভোকাল কর্ডে।

ভাবতে হয় কী করে ছাড়ি তোকে,

আমায় একা ছেড়ে আজ সুখী সে 

অন্য কারো আদরে।।

এই কষ্টের আঘাতেই আমার জীবন,

কষ্টই আমার মা... আমার বাবা।

এই কষ্টের কোলেই একটু ঘুমিয়ে আমার শান্তি,

এই কষ্টকে ঘিরে লেখা ক'টা  লাইন-ই 

আমার প্রাপ্তি।।

-স ম্রা জ।। 

মৃত্যু শেষে তুই।।

চাই তোর দেখানো একটু আলো,

তাতেই থাকবো অনেক ভালো।

তোর সমাবেশে মিশবো তোর নেশায়,

তোর আঘাতে ভাঙবো তোর বিছানায়

তোর উষ্ণতায় হয়ে উষ্ণ,

দেবো শীতকে বন্ধক।

ফাগুনের আগুনে জ্বলবো

তোর চাহিদায়;

ঠোঁটের কোনায় তোর সেই হাঁসি,

দেখে উন্মাদনায় ভাসি।

তোর ভালবাসায় তোর কাছে থাকায়

ভুলে সবটা অতীতের আশ্রয় 

জাগায় তীব্র উন্মাদনা 

পীড়ার জ্বালা ভুলে হয়ে কোণঠাসা

কমে মৃত্যুর চাহিদা।

কত লড়বো তোকে বাসবো ভালো

নেই অবকাশ সবেতেই তুই,

মৃত্যু ডাকে সাড়া দিলেও তার পরেও তুই,

আমার শুরু আর মৃত্যু শেষেও তুই।

তবুও; 

তোকে ঘিরে তোকে নিয়ে

এক হয়ে বাঁচার আকাঙ্খা,

মৃত্যুর ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে

তোকে নিয়ে থাকার মন্ত্রে 

বেঁচে আছি আজও।

তোকে সাথে নিয়ে

তোর ভালবাসায় 

সেই আমি আর সাথে

আমার কিছু অনুভূতি।।

-স ম্রা জ।। 

হতাশা..!!

ক্ষত বিক্ষিপ্ত সংকেত , পীড়ায় ভেঙ্গে পড়ে
অবহেলায় বাঁচার অঙ্গীকার , ব্যথায় মন
অসামাজিক সামরিক বিদ্রোহ, মানবিকতায় টান
স্থিতিজাড্যের ক্ষোভ, জীবন শেষের লোভ
শেষের স্বপ্নে বালিশ, আঁকড়ে এ সময়
সিগারেটের ধোঁয়া, জ্বলছে নিকোটিনের জ্বালানী
জ্বলছে বিক্ষিপ্ত মন , আঁধারের প্রত্যাশায়
ভাষা ফুরিয়েছে, লেখা শেষ হয়নি হয়তো।।