মৃত্যু, চাই একটু ছুটি

নাহ্‌ মরতে চাই না আমি আজ,
বাঁচাও হে সাধুবাবা।।
করতে হবে চক্রান্ত ফাঁস
অনেক নামী-বেনামী গোষ্ঠীর।
সব তুলে রাখা হিসেব যে হয়নি এখনও কষা,
করে দিয়ো একটিবারের জন্য ক্ষমা।
মরতে চাই না আমি আজ,
কালকের প্রয়োজন আমার অনেকটা
করতে হবে যে এখনও অনেক কাজ।।
দায়িত্বের গুরুত্ব জমে আছে এ কাঁধে
হতে দাও হালকা, নিজে করবো আপন মৃত্যুকে।
ততদিন চেয়ে নিলাম মৃত্যুর থেকে ছুটি
হে মৃত্যু কর আমার এই আবেদন মঞ্জুর
একটি বারের জন্য লিখছি শেষ এই চিঠি।
দাও আমাকে করতে শুরু
জঞ্জাল পরিষ্কারের কাজ,
কিছুই যে হয়নি করা শুরু
 তোমার কাছে করা এ আবেদন ছাড়া।।
ছেড়ে দিয়ো মোরে একটি বার।
বুঝতে শিখেছি সবে মাত্র জীবনের মানে
বাকিদের ও বোঝানোর সুযোগ চাই
প্রতি ক্ষণে-ক্ষণে।।
এ যুদ্ধের আমন্ত্রনেই আমি আজ খুশী
আরেকটা সুযোগের কামনায় লিখলাম তোমায় চিঠি।
মরতে আজ আমি চাই না
সম্পূর্ণ বাঁচার আগে
বুঝিও মৃত্যুকে একটু হলেও আমার হয়ে।।
এটুকু অঙ্গীকারেই আমার লেখা সীমাবদ্ধ
করে দিয়ো ক্ষমা আমায়, মৃত্যু;
আমি যে তোমারই শিষ্য।।
-স ম্রা জ।। 

অপেক্ষা

দু'-এক ফোঁটা বৃষ্টির জল
আর তীব্র এক তাৎক্ষণিক অপেক্ষা
কীসের তা অজানা একটু হলেও
তুই কোথায় বল এবার...!!
বৃষ্টি গেলো খুঁজতে তোকে
এবার না হয় দে সাড়া ডাকের
আমার না হয় বৃষ্টিরই হোক
আমার তো শুধু চাই তোকে
সব আকাঙ্ক্ষা জুড়ে তোর কিছুটা কাছে
আসবি না বল, তুই কি আজও আসবি নাহ...??
প্রশ্ন থেকে গেলো এ মনের স্রোতে।।
চেনা অচেনা কতজনেই না দেখছে আজ,
এসে নিয়ে যা এবার এসবের থেকে দূরে শুধু তোর কাছে
যেখানে থাকব শুধু তুই আর আমি
আর থাকবে আমাদের "কিছু অনুভূতি" ।।
-স ম্রা জ।। 

সাইরেন

সাইরেন
আওয়াজ আসছে ভেসে
কোনও এক প্রান্ত থেকে
শুনলাম হয়েছে আহত
কিছু প্রতিবাদীর দল,
দোষ তাদের ছিল কিসে
তারা যে এখন মাত্র বিশে।
স্বাধীন দেশে সবাই পরাধীন
এটা প্রকাশ্যে আনাটাই ছিল তাদের দোষ।
মিটিং-মিছিলের প্রতিবাদ ছিল প্রতি ঠোঁটে
শয়তানীর শিকার সাধারনের ভোটে।
মহান-মহীয়সীর নিরপেক্ষতার হিসেব মিলছে আজকাল
এদিক ওদিক মিছিলে দলীয় পতাকার ভিড়ে
এটাও ঠিক আজকের ক্ষমতার দলাদলিতে।
এগোলেই হবে শাস্তি ন্যায্য দাবী
পড়বে ফাঁসি নৈতিকতার খাতিরে।
সরীসৃপ আজকের সংগঠন
বুক নেতিয়ে পড়েই থাক স্বভূমিতে
এটাই আকৃতি নিরপেক্ষের।
মানবিকতা কোথায় যাচ্ছে হারিয়ে
পারছে কি কেউ নিরপেক্ষের সুরে করতে
জাতীয় দিবসের উদযাপন...
যাচ্ছে ভেসে এভাবেই প্রতি সাধারনের কথা
চিঁরে যাচ্ছে শিরা উপশিরার রক্তচাপ নিমেষেই।
ক্ষমা করবেন স্বাধীনতা সংগ্রামী সকল
পারলাম না রাখতে আপনাদের কঠোর পরিশ্রমের ফল।।
হিংস্র-নিশংস্র এই মানসিকতার ভিড়ে সত্যিই
আজও একটু আলোর প্রয়োজন।।
-স ম্রা জ।। 

বসন্ত আসবে বলে

বসন্ত আসবে বলে
কোকিলের মধুর গানের অপেক্ষা
হালকা ঠাণ্ডার মাঝে একরত্তি কুয়াশার আনাগোনা।
বসন্ত আসবে বলে, শীত যাচ্ছে চলে;
কোনও এক নতুন ঋতুর সমাবেশে।
বসন্ত আসবে বলে, পরিযায়ী পাখিরা ফিরছে নিজের দেশে;
শীতের মোড়ক যাচ্ছে ছিঁড়ে ।
বসন্ত আসবে বলে, মন মিশছে এক অচেনা আবেগে
প্রকৃতির প্রেমে পড়ার নিশ্চিত এক আবেশে।
বসন্ত আসবে বলে, ভুলিয়ে দিয়েছি গতকালের অতীত
ঘুমের মধ্যে বেসেছি ভালো হয়েছি বসন্তের শরীক।
বসন্ত আসবে বলে, লিখছি এই কবিতা;
দূরবীন দিয়ে দেখছি আমি বসন্তের সবটা।
বসন্ত আসবে বলে, হচ্ছে আবার এক শুরু
হয়তো বা নতুন দিনের একাকী এক রাতের শুরু।
পরের সকালে পরবে আবারও সূর্য জানি,
নতুন ঋতুর সমাবেশে যাবে এক চেনা শীতের কাঠামো
বসন্ত তুমি শীতের ঘোর কাটিয়ো।।
-স ম্রা জ।।

অবশেষ

প্রয়োজনের মোড়া খামে মিলল চিঠি অবশেষ-এর,
নিঃস্বার্থের পরিবর্তে মিলল ব্ল্যাংক একটি চেক্‌ কর্তৃপক্ষের।
নিরপেক্ষের দাম পারলো না চোকাতে ব্যাক্তিগত ভাবে,
তাই খুনের শিকার হলও সেই নিরপেক্ষতা অবশেষ-এ।
প্রতিবাদী সুরের অবসান আদেও কি হয়েছিল, একটাই প্রশ্ন;
সমাধানের রাস্তা পেড়িয়ে সেই বিপ্লব কি কখনও পেয়েছিল নিজের স্থান,
হয়তো কোনও মনে কখনই জায়গা নিতে পারেনি নিঃস্বার্থের এই প্রশ্ন,
নাকি ব্যাস্ত কর্তৃপক্ষ সেদিনও হয়েছিল নাজেহাল,
বের করতে সমাজ ভেদাভেদের এক নতুন মান।।
হাজারো ভাবনার আধারে আজও যেন নিরপেক্ষের সেই সত্বা বসে
নিজের জায়গা খোজার দাবীতে পুরনো ক্ষোভের স্মৃতি ক্রমাগত ধ্বসে।
বাড়ন্তের এই অপ্রয়োজনীয় বাজারে হারিয়ে যাচ্ছে যতো আকাঙ্ক্ষার ভিড়
কোথায় হে নিরপেক্ষ মনোভাব অবশেষের নামে তুমিও কি আজ শহিদ...??
-স ম্রা জ।।